সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের সমস্যা যেন কাটছেই না


১৯৯১ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৭ বছরের ফিডার পদে চাকুরীর পর সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৪ বছরের ফিডার পদ অতিক্রম করলেই প্রধান শিক্ষক/ জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির  সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন/ বিধি থাকলেও হাজার হাজার সহকর্মী ইতোমধ্যে কোনো প্রকার পদোন্নতি ছাড়াই অবসর গ্রহণ করেছেন!

যদিও ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে কারো কারো ক্ষেত্রে দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত প্রতীক্ষার পর সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে একটি পদোন্নতি জুটেছে! কিন্তু ২০২১ এর সংশোধিত বিধিতে সিনিয়র শিক্ষক থেকে পরবর্তী পদোন্নতির কীভাবে বা কতদিন পর কোন পদে হবে এ ব্যাপারে বর্তমানে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে! না জানি সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক সহকর্মীগণকে পরবর্তী পদোন্নতির জন্য আবার কতবছর অপেক্ষা করতে হয়!

নতুন কারিকুলাম নিয়ে নানা অপপ্রচারের অংশ হিসেবে আবারো বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সরবরাহ!

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া টাইম স্কেল/ সিলেকশন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন শিক্ষকগণ! নতুন বছরের  শুরুতে বকেয়া টিএস/এসজি  এর মঞ্জুরী আদেশ পেতে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকগণ উম্মুখ হয়ে আছেন! অথচ আমরা জানিনা আমাদের এই প্রাপ্তির ই বা শেষ কোথায়?

ফ্রী ইনকামের উপায়গুলো

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে দেশের শিক্ষাঙ্গনের এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য উপরের সমস্যাগুলোর সমাধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অথচ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এদিকে কোনো নজর নেই! নিয়োগ বিধি ও নিয়োগের শর্ত পূরণসহ সকল দিক বিবেচনায় পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জনকারী ২০১০ ও ২০১১ ব্যাচের প্রায় দুই সহস্রাধিক শিক্ষক যেমন সিনিয়র শিক্ষক পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তেমনি ২০০৫ ও ৬ ব্যাচ এবং তৎপরবর্তী ব্যাচসমূহ টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড এর মতো কোনো প্রকার আর্থিক সুবিধা ও পাননি! ১৯৯৯ থেকে তৎপরবর্তী ব্যাচের শিক্ষকগণ টাইম স্কেল/ সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তির লক্ষ্যে এরই মাঝে মামলা করে রায় পেয়েছেন কিন্তু রায় বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না!

আমরা উপরোক্ত বিষয়গুলির আশু সমাধান চাই। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত একজন সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ লাভের সাথে সাথে তিনি তার বিদ্যমান পদ থেকে দক্ষতা, যোগ্যতা ও নির্ধারিত সময় অতিক্রম করত: কোন পর্যন্ত পদোন্নতি পেতে পারবেন; তা পূর্ব নির্ধারিত থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। এজন্য আমরা সরকারি কলেজের ন্যায় চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান কার্যকর করতে সদাশয় সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।


লেখক: মোঃ ওমর ফারুক
সহকারী শিক্ষক (বাংলা)
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা 
ওসদস্য, 
কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি 
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)।
মোবাইল নম্বর : ০১৭১৬ ৩৬৪ ১১০
ইমেইল : omurfaruknghs12@gmail.com

Post a Comment

0 Comments