১৮ বছর বয়সে কী ব্যবসা করা যায় ?

ব্যবসা করতে দু'টো জিনিস প্রয়োজন;
১. 
হিম্মত (সাহস)
২. 
সততা

১৮ বছর বয়সে কী ব্যবসা করা যায় ?


আপনার সম্ভবত এখনই ব্যবসা করা'র পথে হাঁটা ঠিক হবে না; কারণ আপনি প্রশ্নের শুরুতেই আপনার বয়স উল্লেখ করেছেন, যেটার মানে দাঁড়ায় যে আপনি বয়স'টা একটা প্রতিবন্ধক হিসাবে বিবেচনা করছেন…

  • আপনি কি কোনো ব্যবসায়িক পরিবার থেকে এসেছেন?
  1. যদি 'হ্যাঁ' হয়, তাহলে ১৮ বছরের বয়সেই ব্যবসা করতে চাওয়াটা আমি এপ্রিশিয়েট করি; কারণ আপনি ইতিমধ্যেই জানেন যে কতোটা ত্যাগ সহ্য করে সংগ্রাম করে ব্যবসা করতে হয়…
  2. আর উত্তর যদি 'না' হয়, তবুও আমি আপনার ব্যবসা করার চিন্তাকে সম্মান করি; কারণ আপনি নতুন কিছু ভাবতে চাচ্ছেন…

আপনি যদি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী হোন যে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন এবং ব্যবসা'ই করতে চান; তাহলে আপনাকে বিলিয়ন ডলার বিজনেসম্যান ক্লাব-এ আপনাকে স্বাগতম…

চলুন স্টেপ অ্যান্ড স্ট্রেটেজিগুলো একটু আলোচনা করে নিই…

১. পড়াশোনা করুনঃ

আপনি কি নিয়ে বিজনেস করবেন; মার্কেটে সেই বিজনেস কিভাবে টিকে আছে; লাভ-লসের সম্ভাবনা কতোটুকু; কাঁচামাল কোথায় পাবেন; কর্মী লাগবে কি না; ডীল কিভাবে করবেন ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করুন… পাক্কা ছয় (৬) মাস সময় দিন এই পড়াশোনায়… নিজের পাঠ্যবই কতোটা মন দিয়ে পড়তেন তা জানি না, কিন্তু এই পড়াশোনায় ঘাটতি রাখবেন না…

২. দেশের মার্কেট যাচাই করুনঃ

আপনি যে বিজনেস করতে চাচ্ছেন তা সম্ভবত কেউ না কেউ ইতিমধ্যেই করছে; তাদের সাথে কথা বলুন; কফি টেবিলে একসাথে কফি খাওয়ার ব্যবস্থা করুন… তাদের মার্কেট স্ট্রেটেজি জানার চেষ্টা করুন… একান্তই তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করতে না পারলে তাদের বিজনেসটা বাইরে থেকেই পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করুন; যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে, নোট করুন…

৩. নিজের পলিসি ঠিক করুনঃ

আপনি খাতা কলমে লিখে ফেলুন যে আপনার বিজনেস কেমন হওয়া উচিত;
দোকান বা কারখানা কই থাকবে,
কাঁচামাল কোথা থেকে আসবে,
মাল কোথায় মজুদ করবেন,
কাস্টমার'কে এক্সট্রা কি দিবেন যা দেখে সে আপনার থেকে নিয়মিত ক্রয় করবে ইত্যাদি নিয়ে আপনার পরিকল্পনা, সমস্যা, সমাধান, পদক্ষেপ ও করণীয় খাতায় লিখে ফেলুন…

৪. আলোচনা করুনঃ

আপনি ১৫-২০ জন মানুষের সাথে আপনার আইডিয়া শেয়ার করুন (একদম সিক্রেট কিছু স্টেপ থাকলে সেগুলো লুকাতে পারেন); দেখুন আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীরা আপনার চিন্তাধারা'কে কিভাবে খণ্ডন করছে… তারা আপনাকে উৎসাহিত করলে জেনে নিন যে কোন জিনিসটার কারণে তাদের মনে হয়েছে যে আপনার বিজনেস আইডিয়া সঠিক;
এবং কেউ নিরুৎসাহিত করলে তার কাছে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করুন যে 
আপনার বিজনেস আইডিয়াতে কি কি ত্রুটি আছে

৫. নিজের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা সেরে নিনঃ

আপনার কাছে এখন পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত আছে; আপনি এবার নিজের পরিকল্পনা গুছিয়ে নিন;
নিজের মূলধনের ৮০ শতাংশ বিনিয়োগ করুন,
বাকী ২০ শতাংশ জমা রাখুন; এবং
মোস্ট ইম্পোর্টেন্টলি সুদের হিসাবে টাকা ধার-দেনা করে বিজনেস করবেন না…

৬. কাস্টমার সার্ভিস ও কানেক্টিভিটিঃ

আপনি এতো দিনের পড়াশোনা এবং ঘুরাঘুরি'র অপেক্ষায় নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন যে কাস্টমারকে আকর্ষিত করা এবং ধরে রাখার গুরুত্ব;
কাস্টমারের সাথে যথাসম্ভব ভালো ব্যবহার করুন; ভালো সার্ভিস দিন…

৭. ৮০-২০ রুলঃ

এটা সাকসেসের একটা ওপেন সিক্রেট, এটার উপরে হালকা পড়াশোনা করে নিয়েন…

————————————————————————————————————

আপনার এতোকিছু গুছিয়ে নিতে মোটামুটি ১.৫-২ বছর সময় লাগবে;
আশা করি, ধৈর্য্য না হারিয়ে লেগে থাকবেন এবং হুট করে বিজনেস শুরু করে দিবেন না…

আপনার জন্য শুভকামনা রইলো…

কোন কোন বিষয়ের উপর ব্যবসা করা যায় তা লিখলাম না; কারণ ওতে লিখা অনেক বড় হয়ে যেতো; আগে ব্যবসা জিনিসটা বুঝুন, পরে এক সময় বিশদ কথাবার্তা হবে ইনশাআল্লাহ…

Post a Comment

0 Comments