প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে ভূতুড়ে বিলের ফাঁদে গ্রাহক

রাঙামাটি শহরে নতুন প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর পুরাতন মিটার ব্যবহার না করেও ভূতুড়ে বিলের ফাঁদে শতাধিক পরিবার।

প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে ভূতুড়ে বিলের ফাঁদে গ্রাহক


রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ থেকে বাঁচতে শহরের রিজার্ভ বাজার, পুরান পাড়া, শরিয়তপুর এলাকাবাসীরা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে
এসে জড়ো হয়।

প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে ভূতুড়ে বিলের ফাঁদে গ্রাহক


তাদের অভিযোগ, গত কয়েকমাস আগে বিদ্যুৎ অফিসের পরিচয় দিয়ে পুরাতন মিটার খুলে নতুন প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে আসে। প্রিপেইড মিটার লাগানোর আগে সব টাকা পরিশোধ থাকলেও নতুন করে ভূতুরে বিল দেয় পিডিপি।

বৃহস্পতিবার সারা দেশে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

রাঙামাটি সদরের পুরান পাড়া এলাকার বাসিন্দা রেহেনা আলম। স্বামী দিনমজুর এবং তিনি গৃহিণী। গত কয়েকমাস আগে তার বাসায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গিয়ে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিয়ে আসে। প্রিপেইড মিটার লাগানোর পর তার বকেয়া ইউনিটের কারণে ১১০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে এবং তার পরের মাসেই বিদ্যুৎ বিল আসে ৬৩ হাজার টাকা।

পুরান পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, আমি পেশায় একজন ইমাম। আমি বেতন পাই ৭ হাজার টাকা। প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল প্রতিমাসে পরিশোধ করে ফেলি। কিন্তু প্রিপেইড মিটার বসানোর পরে আমাকে ৯ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়া হলো। এতগুলো বিল আমি কিভাবে পরিশোধ করবো? ভালোর জন্য প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে নতুন করে বিপদে পড়তে হলো আমাদের।

আরেক ভুক্তভোগী নতুন জালিয়া পাড়া এলাকার মিনাকী রাণী দাস বলেন, প্রিপেইড মিটার বসানোর পর থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা রিচার্জ করেও কুলাতে পারছি না। তারপরও আগের ব্যবহৃত ইউনিট বকেয়া আছে জানিয়ে ২৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে আমাকে। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। এত টাকা কোথা থেকে দিব?

রাঙামাটি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার এলাকার অনেকেই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসী আমাকে জানানোর পর আমি তাদের নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এসে বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়েছি। যাতে অতিরিক্ত কোনো বিলের বোঝা সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়। এখানকার দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটির পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা
রিজার্ভ বাজার
 এলাকায় ৪ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার গ্রাহকের প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছি। যারা প্রিপেইড মিটার পেয়েছে তাদের
পুরাতন মিটারে কিছু ইউনিট বকেয়া থাকার কারণে এগুলোর বিদ্যুৎ বিল এসেছে। যারা অভিযোগ করেছেন অতিরিক্ত বিলের, তারা যদি আবেদন করে তাহলে আমরা বিলগুলো কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সুযোগ দিব। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মিটার রিডারদের ভুলের কারণে এমনটা হতে পারে। আমরা সেগুলো দেখছি।

-চ্যানেল 24

Post a Comment

0 Comments