- দীর্ঘদিন ধরে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বদলি নীতিমালা দাবি করে আসছিলেন এই সেক্টরে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তাগণ! একটি সুষ্ঠু ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বদলি নীতিমালার জন্য নানা ধরনের প্রচেষ্টা ছিল তাঁদের! শিক্ষক নেতাদের মধ্যে এই বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় যেমন লেখালেখি করে সোচ্চার ছিলেন তেমনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দেন দরবারও কম করেননি!
- সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালার গেজেট প্রকাশের মধ্যে একই সাথে স্বস্তি ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে!
বিশেষ করে সরকারি মাধ্যমিক স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মূখপাত্র ও খুলনা জেলা বাসমাশিসের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক এ ব্যাপারে যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন, তিনি ঊর্ধ্বতন (মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে লিখিত আবেদনের ফাইল সরাসরি হস্তান্তর করেন) কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জোরালো দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি পত্র-পত্রিকায় বদলি নীতিমালার গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে লেখালেখি ও করেছেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত বদলি নীতিমালার এ গেজেটটি গত ২ এপ্রিল তারিখে প্রকাশিত হয়েছে। বদলি নীতিমালার এ গেজেট প্রকাশ হওয়ায় এই শিক্ষক নেতা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি সরকারের সদিচ্ছার কারণে অবশেষে গেজেট প্রকাশ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট কোন বদলি নীতমালা না থাকায় শিক্ষকগণ নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতেন বলে অভিযোগ ছিল! নতুন এ নীতিমালা জারির কারণে এখন থেকে শিক্ষকগণ সরাসরি (অনলাইনে) আবেদনের মাধ্যমে বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় (অক্টোবর মাসে) আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির সুযোগ পাবেন।
যদিও কোন কোন শিক্ষক এ নীতিমালা জারির কারণে একই বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে (ছয় বছরের অধিক) অবস্থান করার সুযোগ না পাওয়ার আশঙ্কায় বদলি আতঙ্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এই জাতীয় শিক্ষকের দাবি নতুন বদলি নীতিমালায় দীর্ঘদিন ধরে একই বিদ্যালয়ের চাকরি করার সুযোগ থেকে অনেকেই বঞ্চিত হবেন! ইতোপূর্বে সরকারি মাধ্যমিকে জেলা সদরে এবং মহানগরীর বিদ্যালয় গুলোর পাশাপাশি রাজধানীর স্বনামধন্য সরকারি স্কুলে অনেকেই ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত চাকরি করার সুযোগ নিয়েছেন, যে সুযোগটি হয়তো আর বহাল রাখা সম্ভব হবে না বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশের পাশাপাশি আতঙ্কিত রয়েছেন!
-দৈনিক বাংলার আলো নিউজ
0 Comments