বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে শিক্ষক নেতা মোঃ ওমর ফারুকের পদত্যাগ!

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে শিক্ষক নেতা মোঃ ওমর ফারুকের পদত্যাগ!

আজ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ফেইসবুক আইডি থেকে দেওয়া স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

বর্তমান গৃহপালিত (!) আহ্বায়ক কমিটির কোনো পর্যায়ে আমার পক্ষে যুক্ত থাকা আর সম্ভব নয়, যেখানে একজন মাত্র ব্যাক্তিই সর্বেসর্বা! আর কারো মত প্রকাশের যেখানে স্বাধীনতা নেই! আমি যদি কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির এই ফোরামেও সাধারণ শিক্ষক সহকর্মীগণের পক্ষে / জন্য ন্যায় সঙ্গত কথা বলতে বাধাপ্রাপ্ত হই, যদি আমার এবং আমার মতো অল্প কিছু শিক্ষকের যৌক্তিক বিরোধিতা সহ্য করতে না পেরে এভাবে আমাদের কণ্ঠ রোধ করা হয়, তবে তো নামে মাত্র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থাকার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি অন্তত মনে করি না!

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে শিক্ষক নেতা মোঃ ওমর ফারুকের পদত্যাগ!


আর তাই, আমি আর এক মুহূর্তও এমন অনৈতিক ও অগঠনতান্ত্রিক ভাবে এবং কতিপয় ধান্দাবাজ নেতাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থ রক্ষার ফোরাম হিসেবে পরিচিত এই অথর্ব ও গৃহপালিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে থাকতে চাই না! সংগত কারনে আমি মোঃ ওমর ফারুক, সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা এই মুহূর্তে এই অগঠনতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত এবং গত ০৯ ফেব্রুয়ারি /২৪ খ্রি. তারিখে বারংবার বেশ কয়েকজন সদস্যের পক্ষ থেকে এখতিয়ার বহির্ভূত এজেন্ডার (জেলা ও ইউনিট কমিটির পুনর্গঠন) পরিবর্তন করে মিটিং এর এজেন্ডা পুনর নির্ধারণ-পূর্বক ( আগামী দুই মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করণ এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণের এজেন্ডা অন্তর্ভুক্তকরণ) সবাইকে নিয়ে মিটিং করতে অনুরোধ করার পরেও আহবায়ক কমিটির এখতিয়ার বহির্ভূত এজেন্ডা ভিত্তিতে মিটিং সম্পন্ন করায় এবং বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রতিবাদে আহ্বায়ক কমিটির পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম! অর্থাৎ এই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম!

সর্বজনীন পেনশন: একযোগে আন্দোলনে নামছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই আহবায়ক কমিটির মেয়াদ আগামী ১৩ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ শেষ হতে যাচ্ছে অথচ এখনো নির্বাচন কমিশন গঠন করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার পাশাপাশি নির্বাচন আয়োজনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্ধারণের উদ্যোগ গ্ৰহণ না করে পদ-পদবি গ্ৰহণ করে চুপচাপ বসে থেকে সমিতির সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে তামাশা করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়!

পরিশেষে গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে সাধারণ পরিষদের সম্মানিত সদস্যদের প্রতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি।

জয় বাংলা 🇧🇩

মোঃ ওমর ফারুক
সহকারী শিক্ষক (বাংলা)
সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।

সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)
খুলনা জেলা কমিটি, খুলনা।

Post a Comment

0 Comments