ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৯৩%, চিনি কমেছে ৭০ শতাংশ

খাদ্যশস্য ও চিনি আমদানিতে বরাবরই প্রতিবেশী ভারতের ওপর বড় মাত্রায় নির্ভরশীল বাংলাদেশ। যদিও দেশটির বাণিজ্য বিভাগের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, ভারত থেকে খাদ্য ও চিনি আমদানি হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর চিনি আমদানি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। ভারতের বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে (ভারতে অর্থবছর হিসাব হয় এপ্রিল-মার্চ সময়সীমায়) দেশটি থেকে মোট ১২৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের খাদ্যশস্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে চাল, গম ও ভুট্টা আমদানি হয়েছে যথাক্রমে ৪১ কোটি ৮৭ লাখ ডলার, ৫৫ কোটি ১৭ লাখ ও ৩১ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (এপ্রিল-জানুয়ারি) ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে মাত্র ৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের। এর মধ্যে ৭ কোটি ১৫ লাখ ডলারের ভুট্টা ও ১ কোটি ২১ লাখ ডলারের চাল আমদানি করা হয়েছে। এ সময়ে কোনো গম আমদানি করেনি বাংলাদেশ। দেশটি থেকে অর্থবছরের বাকি দুই মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চাল আমদানি এক প্রকার বন্ধ ছিল। ভুট্টা আমদানিও তেমন একটা হয়নি। সে হিসেবে দেশটি থেকে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে প্রায় ৯৩ শতাংশ।

ভারত থেকে খাদ্যশস্য আমদানি কমেছে ৯৩%, চিনি কমেছে ৭০ শতাংশ


এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ভারত থেকে গত অর্থবছরের চেয়েও বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ২২৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের খাদ্যশস্য। এর মধ্যে ১১৯ কোটি ১৬ লাখ ডলারের গম, ৪৩ কোটি ২৪ লাখ ডলারের ভুট্টা ও ৬২ কোটি ডলারের চাল আমদানি হয়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনের শিক্ষা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও স্মার্ট: সুজিত রায় নন্দী

Post a Comment

0 Comments