সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গত মঙ্গলবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সহকারী শিক্ষক খাইরুল ইসলাম। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষকতা এখন একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা’। এ স্ট্যাটাস দেওয়ার একদিন পরই না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার কক্সবাজারের একটি হাসপাতাহলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় খাইরুল ইসলামের। নিহত খাইরুলের বাড়ি দিনাজপুরে। তিনি কক্সবাজারের মুহাম্মদীয়া রিয়াজুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
খাইরুলের বাল্যবন্ধু মাসুম জানান, সন্তানদের ছেড়ে কক্সবাজারে চাকরি করার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বদলি নিয়ে সরকারের মধ্যে আলোচনা হওয়ায় আশার আলো দেখেছিলেন। তবে বার বার সেই সভা স্থগিত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।
Sports TV Live . . .
তিনি আরও বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর সভা হয়েছিল। পরবর্তীতে চলতি বছর জানুয়ারির শুরুতে সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ৩০ জানুয়ারি সভার তারিখ নির্ধারিত হলেও সেটিও স্থগিত করা হয়। এ সভা স্থগিতের কারণে হতাশ হয়ে পড়েন খাইরুল। সেই হতাশা থেকে বুধবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সন্তানদের ছেড়ে থাকা নিয়ে হতাশার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও শেয়ার করেছেন খাইরুল। সম্প্রতি ছেলেমেয়ের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘তোদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কি আমি কোনোদিনও গড়তে পারবো না? বাসা থেকে বের হয়ে ছুটছি শুধু তোদের জন্য, নিজের পরনের শার্ট আর পায়ে জুতো পরারও কথা ভাবিনি কোনোদিন। শুধু তোদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আর সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসেবে দেখবো বলে।’
-The Daily Campus
0 Comments