কীর্তিমান ড: সলিমুল্লাহ খান -এঁর কীর্তিগুলো-

ড: সলিমুল্লাহ খান, বর্তমান সময়ের এক আলোচিত ব্যক্তিত্ব। যিনি একাধারে একজন সাহিত্যিক, আইনজ্ঞ,বুদ্ধিজীবী। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইনে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব সরব থাকেন প্রতিনিয়ত।


প্রথিতযশা এই বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও লেখক পণ্ডিত ও গণবুদ্ধিজীবী হিসেবে প্রসিদ্ধ।
তার রচনা ও বক্তৃতায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিশ্লেষণ মানুষকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে।

কীর্তিমান ড: সলিমুল্লাহ খান কীর্তিগুলো



বাংলাদেশের তরুণ লেখক ও চিন্তকদের মাঝে সলিমুল্লাহ খানের অনুসারী রয়েছে। ডক্টর সলিমুল্লাহ খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৮ সালের ১৮ই আগস্ট বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগেরকক্সবাজার জেলার অন্তর্গত মহেশখালী গ্রামে ।
সলিমুল্লাহ খান চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও চট্টগ্রাম কলেজে থেকে এইচএসসি পাস করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবিতে ভর্তি হন।
ছাত্রাবস্থায়, ১৯৭৬ সালে আহমদ ছফা ও অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে পরিচয় হয়। এই সময় তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ছাত্র শাখার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন সাময়িকভাবে।

কীর্তিমান ড: সলিমুল্লাহ খান কীর্তিগুলো



যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের দ্যা নিউ স্কুল বিশ্ববিদ্যালয় তিনি দীর্ঘ কাল অধ্যয়ন ও গবেষণা করেন। "ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং তত্ত্ব, ১৭৯৩-১৮৭৭।" এ অভিসন্দর্ভের জন্য তাকে পিএইচডি ডিগ্রি দেয়া হয়।
তার রচনায় প্রভাকার্ল, মার্ক্স,জাক লাকঁ ও আহমদ ছফার চিন্তার প্রভাব দেখা যায়। তিনি প্লাতোন, জেমস রেনেল, ফ্রঁৎস ফানঁ, শার্ল বোদলেয়ার প্রমুখের লেখা বাংলায় অনুবাদ করেছেন।এছাড়া গদ্য, কাব্য, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় গ্রন্থ রচনা করেছেন।

কীর্তিমান ড: সলিমুল্লাহ খান কীর্তিগুলো



তিনি যখন বিভিন্ন টক শোতে অথবা বক্তৃতায় আলোচনা করেন তখন মনে হয় যেন তিনি এক জীবন্ত লাইব্রেরি। তার জ্ঞানের পরিধি অনেক ব্যাপক এবং বিস্তৃত।কথার সৌন্দর্য ও বাচনভঙ্গি এত সুমধুর, যা শুধু শুনতেই মন চায়।

ইউটিউব কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চ দিলে আর এইসব বক্তৃতা এবং আলোচনা খুব সুন্দরভাবে অনুধাবন করা যায়।
তিনি বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকরণ নিয়ে খুব সরব।দেশের সুশীল বুদ্ধিজীবীদের সব সময় আঙ্গুল দিয়ে তাদের ভুলগুলো দেখিয়ে দেন এবং চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনার আহ্বান করেন।

কর্মজীবনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি,সহ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন, এছাড়া বিভিন্ন সভা, সেমিনার,সাহিত্য কর্মশালায় অংশ গ্রহন করে খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত আছেন।

Post a Comment

0 Comments